অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের পর এবার জ্বালানি সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। দেশটিতে জ্বালানি স্বল্পতা তীব্র হওয়ায় শপিংমলসহ বাজার এবং অন্যান্য দোকানপাট রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এছাড়াও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে তাড়াতাড়ি ওঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এই পদক্ষেপগুলির ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির প্রায় ২৭৪ মিলিয়ন ডলার বেঁচে যাবে।
বর্তমানে পাকিস্তান আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বেশিরভাগ শক্তি উৎপন্ন করে। বৈশ্বিক শক্তির দাম গত বছর লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে জ্বালানি সংকট তীব্র হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটও প্রকট হয়েছে। এই শক্তি আমদানির জন্য দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন, বিশেষ করে মার্কিন ডলার।
গত বছর পাকিস্তানের রিজার্ভ প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ার পর গত মাসে পাকিস্তান সরকারের কাছে মাত্র ১১.৭ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল। এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে দেশের সমস্ত আমদানির প্রায় এক মাসের মূল্য পরিশোধ করা সম্ভব।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আসিফ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শপিং মল এবং বাজারগুলি স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে এবং সরকারি বিভাগগুলিকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে জুলাইয়ের শুরু থেকে অদক্ষ বৈদ্যুতিক পাখা উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হবে।
ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) দল টুইটারে বলেছে, ‘ফেডারেল মন্ত্রিসভা অবিলম্বে শক্তি সংরক্ষণ পরিকল্পনার প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।’
২২ কোটি মানুষের দেশটি তার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করছে। পাকিস্তান ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার বেলআউট পেয়েছে। গত বছরের আগস্টে দেশটি আরও ১.১ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এছাড়া আরও ১.১ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট অর্থ বিলম্বিত মুক্তির বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনাও করছে।
অক্টোবরে বিশ্বব্যাংকের অনুমান অনুসারে বন্যার কারণে দেশটির প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
Leave a Reply